প্রসঙ্গ
সবাই বাড়িতে বা অফিসে Wi-Fi চালায় — কিন্তু অনেকেই নিরাপত্তা বিসর্জন দেয়। অননুমোদিত কেউ সংযোগ পায়, ডেটা গোপন থাকে না, ফিশিং এজ হয়—এসব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন কিছু মডার্ন কাঠামো।
কৌশল ১: WPA3 পাসওয়ার্ড ব্যবহার
-
Wi-Fi রাউটারের সেটিংস-এ গিয়ে Security Type নির্বাচন করুন; WPA3-Personal (যদি সাপোর্ট করে) বেছে নিন—এটা আগের WPA2 থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।
-
যদি WPA3 না থাকে, তাহলে “WPA2 + AES” সিলেক্ট করুন, “WEP” বা “WPA-TKIP” না ব্যবহার করা উচিত।
কৌশল ২: রাউটার ‘Admin’ ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
-
ডিফল্ট “admin/admin” বা “admin/password” ব্যবহার করা বিপজ্জনক—হার্ডওয়্যার সনাক্ত করা সহজ করে তোলে।
-
ভালো, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন (কমপক্ষে ১২ অক্ষর, মিশ্র অক্ষর ও সংখ্যা)।
কৌশল ৩: গেস্ট Wi-Fi আলাদা করা
-
গেস্ট ইউজার ফিচার ব্যবহার করুন — প্রাইভেট নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা করে দিন; এতে অপূর্ণ-আগ্রহীরা আপনার প্রধান নেটওয়ার্কে ঘুরে বেড়াবে না।
-
গেস্ট নেটওয়ার্কে ওয়াই-সিডি (SSID) লুক vs তুলে দেওয়া যায়; আপনি নিজে নির্ভর করে নির্বাচন করুন।
কৌশল ৪: ফার্মওয়্যার আপডেট
-
রাউটার নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে ফার্মওয়্যার ডাউনলোড করে নিয়মিত আপডেট রাখুন — ভলনারেবলিটি ফিক্স করার জন্য জরুরি।
দ্রুত চেকলিস্ট
| পদক্ষেপ | বর্ণনা |
|---|---|
| Security Type | WPA3-Personal / WPA2-AES |
| Admin credentials | নতুন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড |
| Guest Wi-Fi | আলাদা, প্রয়োজনীয় সেটিংস |
| Firmware | নিয়মিত রিপেয়ার ও আপডেট |
উপসংহার: আপনার ব্যক্তিগত Wi-Fi হল এমন একটা দরজা যা সঠিকভাবে ঢেকে না থাকলে বাঁচার নিরাপত্তা ঠিক থাকে না। এই হাউ-টু গাইডে বলা সিকিউরিটি পদক্ষেপগুলো ফলো করলে আপনি অননুমোদিত ঢোকা থেকে অনেক বেশী রক্ষা পাবেন।
সূত্র: [TechRadar Wi-Fi security guide], [Manufacturer support pages] (উদাহরণস্বরূপ নিজ রাউটারের অফিসিয়াল সাপোর্ট)।
