প্রবাস জীবনে রুমমেট ছাড়া চলেই না। কেউ অফিসের সহকর্মী, কেউ আত্মীয়, কেউ একেবারে অচেনা। কিন্তু এক ছাদের নিচে এসে সবাই পরিবার হয়ে যায়। আর সেই পরিবারে ঘটে অসংখ্য রম্য কাহিনী।
১. ভাতের হাঁড়ির তত্ত্ব
আমাদের ফ্ল্যাটে এক ভাই ছিল, নাম ধরা যাক রাশেদ। রাশেদের দায়িত্ব ছিল ভাত রান্না করা। কিন্তু সে ভাত রান্না করত এক বিজ্ঞানীর মতো। একদিন হাঁড়িতে পানি বেশি দিয়ে দিয়েছে, ভাত হয়ে গেছে পায়েস। আরেকদিন পানির হিসাব কম দিয়েছে, ভাত এত শক্ত হলো যে একদম ইট ভাঙার মতো।
আমরা তখন মজা করে বলতাম, “রাশেদের ভাত খেয়ে ডেন্টিস্টদের বিজনেস বেড়ে যাবে।”
২. চা-প্রেমিকের তত্ত্ব
আমাদের আরেকজন রুমমেট ছিল, নাম লাবিব। ওর আসল শখ ছিল চা বানানো। কিন্তু তার চা ছিল যেন আলকেমি ল্যাব। এক কাপ চায়ের মধ্যে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, এমনকি একদিন ভুলে মরিচও দিয়ে দিয়েছিল।
আমরা সেই দিন তাকে বলেছিলাম, “তুই চা না, চিকেন কারি বানিয়েছিস।”
৩. রাত জাগা গল্প
রুমমেটদের আসল মজা হলো রাত জাগা গল্প। অফিস থেকে ফিরে কেউ মজার ঘটনা বলে, কেউ প্রপোজাল রিজেক্ট হওয়ার গল্প শোনায়, কেউ আবার দেশের রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক করে। একেক সময় এত হাসাহাসি হয় যে, পাশের ফ্ল্যাট থেকে এসে বলে, “তোমরা কি কৌতুক অনুষ্ঠান চালাও নাকি?”
৪. রুমমেট মানেই জীবন দর্শন
প্রবাসে পরিবার দূরে থাকে। তাই রুমমেটরাই হয়ে ওঠে পরিবারের মতো। কখনো ঝগড়া, কখনো অভিমান, কখনো আবার একসাথে হাসি। কিন্তু এই সম্পর্কই প্রবাস জীবনের আসল শক্তি।
প্রবাস জীবনে রুমমেটদের রম্য কাহিনীই আমাদের কঠিন বাস্তবকে সহজ করে তোলে। আর এসব মজার স্মৃতি অনেক বছর পরেও গল্প হয়ে থাকে।
