গল্প এবার দুবাই প্রবাসী জসিমকে নিয়ে। গ্রামের মানুষ ভাবত— জসিম বিদেশে গিয়ে এখন স্যুট-টাই পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, গলায় সোনার চেইন ঝুলছে। অথচ আসল কাহিনী হলো, জসিম কাজ করছে এক ছোট্ট দোকানে যেখানে বিক্রি হয়— পানি, বিস্কুট আর সস্তা সিগারেট।
প্রথম দিন
প্রথম দিনেই দোকানদার বললো—
— “জসিম, তোমাকে কাস্টমারের সাথে স্মার্ট থাকতে হবে।”
জসিম বলল—
— “আচ্ছা, আমি কি ইংরেজিতে হাসবো, নাকি আরবিতে?”
কাস্টমার আসতেই জসিম চিৎকার করল—
— “হাবিবি, পানির বোতল, ডিসকাউন্ট, ফ্রি ফ্রি!”
লোকজন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।
আরব গ্রাহকের ঝামেলা
একদিন এক আরব ভদ্রলোক এলো। সে বলল—
— “ওয়াটার।”
জসিম বুঝলো না। সে ভাবলো লোকটা তারে হুমকি দিচ্ছে।
— “কী বললেন? ওটা?”
লোকটা আবার বলল—
— “ওয়াটার।”
জসিম উত্তর দিলো—
— “ওটা আমার না, দোকানদারের।”
লোকটা রাগ করে চলে গেল। দোকানদার এসে বলল—
— “তুই তো বুদ্ধিহীন। সে পানি চাইছিল।”
জসিমের উদ্ভাবন
জসিম একদিন নতুন আইডিয়া দিল। সে দোকানের বাইরে লিখল—
“যদি হাসেন, তবে ডিসকাউন্ট পাবেন।”
কাস্টমাররা আসলো, হাসলো, আর ডিসকাউন্ট নিলো। দোকানদার মাথায় হাত দিয়ে বললো—
— “এইভাবে চললে তো দোকান দেউলিয়া হয়ে যাবে।”
জসিম গম্ভীর মুখে বলল—
— “স্যার, টাকা যাক, হাসি থাক।”
মরুভূমির বিপদ
একদিন দোকানে পানি শেষ। তখন দুপুরের গরম, ৫০ ডিগ্রি। এক আরব এসে পানি চাইলো। জসিম গম্ভীরভাবে বললো—
— “ভাই, পানি নাই, তবে সিগারেট আছে। খাইয়া তৃষ্ণা ভুলে যান।”
আরব লোকটা মাথায় হাত দিয়ে চলে গেল।
পুলিশের ঘটনা
শেষে পুলিশ এলো দোকানে, কারণ জসিম গ্রাহকদের সঙ্গে অতিরিক্ত মজা করছিল। পুলিশ জিজ্ঞেস করলো—
— “তুমি দোকান চালাও নাকি সার্কাস?”
জসিম উত্তর দিলো—
— “স্যার, আমি আসলে সার্কাসেই কাজ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ভাগ্যে দোকান পাইছি।”
শেষে দোকানদার সিদ্ধান্ত নিল— জসিমকে চাকরি থেকে বাদ দেবে না। কারণ, যতই ক্ষতি হোক, দোকানের নাম এখন পুরো এলাকায় ভাইরাল—
‘হাসির দোকান’।