ঢাকার আশেপাশের এক গ্রাম—পাটুলিয়া। এখানে এক নাম্বার দুষ্টু লোকের নাম আতিক। পেট খালি থাকলে সে হাঁস-মুরগি, এমনকি টিকটিকিও ভেজে খেতে পারে। কিন্তু এবার সে নামল হাঁস বিক্রির আন্তর্জাতিক ব্যবসায়।
প্রথম পরিকল্পনা
আতিকের হাতে ছিল মাত্র চারটা হাঁস। সে ঘোষণা দিলো—
— “ভাইসব, আমার এই হাঁস বিদেশে যাবে। আমেরিকানরা ডলার দিয়া কিনব।”
শুনে গ্রামের লতিফ বলল—
— “আমেরিকানরা কি হাঁস চিনে?”
আতিক গম্ভীর ভঙ্গিতে উত্তর দিলো—
— “ওরা চায় হাঁসের ডিম, আর আমি দিব হাঁসের হাঁসফাঁস।”
সবাই হেসে গড়াগড়ি খেয়ে পড়ল।
বিদেশে পাঠানোর কাণ্ড
আতিক হাঁসগুলো গুছিয়ে বাসে তুলতে গেল। কন্ডাক্টর হাঁস দেখে বলল—
— “ভাই, হাঁসের ভাড়া আলাদা।”
আতিক সঙ্গে সঙ্গে বলল—
— “এই হাঁসরা তো ছাত্র, ওরা হাফ ভাড়া দিব।”
বাস ভর্তি লোক চিৎকার দিয়ে হেসে উঠল।
কাস্টমসে ধরা
ঢাকার বিমানবন্দরে গিয়ে কাস্টমস অফিসার হাঁস দেখে বলল—
— “এইসব কী?”
আতিক খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল—
— “স্যার, এগুলো হলো ‘বাংলাদেশি এয়ার ডাক’। আকাশে উড়বে, বিদেশে নামবে।”
কাস্টমস অফিসার চশমা খুলে হেসে ফেলল। হাঁসগুলো তখন গ্যাঁকগ্যাক করে ডেকে উঠল যেন বলছে—
— “আমরা এয়ার ডাক না, আমরা হাঁস।”
শেষমেশ পুলিশ আতিককে এক রাত হেফাজতে রাখল।
মুক্তির পর
গ্রামে ফিরে আতিক বলল—
— “বিদেশ না গেলেও আমার হাঁসরা ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাইছে। হ্যান্ডকাফের মধ্যে গ্যাঁকগ্যাক করা খুব স্টাইলিশ লাগত।”
এবার থেকে গ্রামের সবাই ওকে ডাকে— “আন্তর্জাতিক হাঁস ব্যবসায়ী”।