গল্প এবার যাবে মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে, যেখানে এক ঝাঁক প্রবাসী মিলে কাবাব পার্টি করার সিদ্ধান্ত নিলো।
সূচনা
প্রবাসী মানেই কাজ, কাজ আর কাজ। কিন্তু শুক্রবার মানেই একটু উৎসব। তাই জসিম, হাশেম, রুবেল, কামাল মিলে ঠিক করল—
— “এই শুক্রবার কাবাব পার্টি করমু।”
জসিম বলল—
— “মাংস আনতে হবে।”
হাশেম বলল—
— “মরুভূমিতে গরু পাবি কোথায়?”
রুবেল হেসে উত্তর দিলো—
— “চিন্তা করো না, উটকেই কাবাব বানাব।”
উটের পালানোর কাহিনি
পরদিন তারা সত্যি সত্যি উট কিনতে গেল। দাম শুনে সবার মাথা ঘুরে গেল। এক উটের দাম শুনে কামাল মাটিতে বসে পড়ল।
শেষে তারা ঠিক করল— বাজার থেকে গরুর মাংস কিনে আনবে। কিন্তু বাসায় ফেরার পথে রুবেল হঠাৎ মাংসের ব্যাগটা উল্টে দিলো। মাংস পড়ে গেল রাস্তায়, মরুভূমির কুকুর এসে সব নিয়ে পালালো।
জসিম রেগে চিৎকার দিলো—
— “এই পার্টি কি কুকুর করবে, না আমরা করব?”
নতুন পরিকল্পনা
মাংস নেই, কিন্তু পার্টি তো বন্ধ করা যাবে না। তাই তারা দোকান থেকে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ আর ডিম কিনে আনল।
রুবেল আবার চালাকি করল— ডিম ভাজা করে বলল,
— “এটাই হলো কাবাব। নাম দিলাম ‘ডিম-কাবাব’। ”
হাসির মহড়া
ক্যাম্পে সবাই এক হয়ে ডিম-কাবাব খেতে বসলো। কামাল মুখে পুরে বলল—
— “হায় আল্লাহ, এই ডিম-কাবাবের স্বাদ একেবারে উটের মতো!”
সবাই হাসতে হাসতে লুটোপুটি খেয়ে গেল।
পার্টির পরিণতি
শেষে এক পাকিস্তানি ভদ্রলোক এসে বলল—
— “তুমি লোগ তো পাগল হ্যায়, ডিম কাবাব কইসে হোতা?”
জসিম গম্ভীরভাবে উত্তর দিলো—
— “ভাই, আমরা প্রবাসী, আমরা চাইলে ইট ভাজা করলেও কাবাব বানাইতে পারি।”
পুরো ক্যাম্প ফেটে পড়ল হাসিতে। এভাবেই তাদের কাবাব পার্টি ইতিহাস হয়ে গেল।