আগের পর্বের ঝলক
কামাল দ্বিতীয় দিনে সাইটে গিয়ে সিমেন্ট ফেলে দিয়ে মূর্তি হয়ে গিয়েছিলো, সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিলো। রাতে ক্যাম্পে তারা বোতল দিয়ে ফুটবল খেলেছিলো।
নতুন কাহিনী
ভোরে ক্যাম্পের অ্যালার্ম বাজলো। এবার অ্যালার্মটা কারো ফোন না— সুপারভাইজারের ডাক।
—“Wake up! Work today early!”
কামাল চোখ মেলতেই দেখলো, খাটের পাশে সিফাত এখনও ঘুমাচ্ছে। সে তাকে টেনে তুলল।
সিফাত বলল,
—“ভাই, প্রবাস মানে তো শুধু কাজ, একটু ঘুমাইতে দিলেও পারতো।”
সাইটের আজব অভিজ্ঞতা
আজকে কাজ ছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের উপরে। কামাল ভয়ে ভয়ে লিফটে উঠলো। হঠাৎ লিফট একটু দুলতেই সে চিৎকার করে উঠলো—
—“হায় আল্লাহ! লিফট ভেঙে পড়ছে নাকি?”
পাশের শ্রমিক হাসতে হাসতে বলল,
—“ভাই, এটা লিফট না, আমাদের ভাগ্য কাঁপছে।”
উপরে গিয়ে কামালকে কংক্রিট মেশানোর দায়িত্ব দিলো। সে চামচ দিয়ে মিশাচ্ছিলো, কিন্তু ভুল করে পুরো বালতি উল্টে ফেললো। মোশারফ ভাই হেসে বলল,
—“কামাল, তুই বিল্ডিং বানাচ্ছিস নাকি বিল্ডিং গলাচ্ছিস?”
দুপুরের ঘটনা
দুপুরে খাবারের সময় কামাল ভাত নিয়ে বসলো। ভাতের সঙ্গে কারি এত ঝাল যে প্রথম চুমুকেই সে হাঁপাতে লাগলো।
সে বলল,
—“ভাই, এটা খাবার না, এটা ফায়ার সার্ভিসের অনুশীলন!”
সবাই হেসে উঠলো।
সন্ধ্যার গল্প
সন্ধ্যায় ক্যাম্পে ফিরে সবাই আবার আড্ডায় মেতে উঠলো। সিফাত বলল,
—“আমরা যদি একদিন দেশে ফিরি, তখন কি মানুষ বিশ্বাস করবে যে আমরা বুর্জ খলিফার ছাদে কাজ করেছি?”
কামাল বলল,
—“মানুষ বিশ্বাস না করুক, কিন্তু আমাদের হাসির গল্প শুনে তারা খুশি হবে।”
সবাই হাততালি দিলো।
ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা
রাতে কামাল ফোন দিলো মাকে।
—“মা, আমি ভালো আছি। কাজ কষ্টকর, কিন্তু হাসাহাসি আছে।”
মা বলল,
—“বাবা, হাসি থাকলে কষ্টও সহ্য হয়।”
কামাল মনে মনে ভাবলো— সত্যি, এই প্রবাস জীবন কঠিন হলেও হাসির ভেতর দিয়ে বাঁচতে হয়।
চলবে…